জনসভা মঞ্চ থেকে শোভন বৈশাখীর তুমুল সমালোচনায় কুণাল ঘোষ

10th February 2021 8:32 pm বাঁকুড়া
জনসভা মঞ্চ থেকে শোভন বৈশাখীর তুমুল সমালোচনায় কুণাল ঘোষ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  গদ্দার চিরকালই গদ্দারই থাকে। জে পি নাড্ডা বলছেন রণনীতি তৈরী করছেন। আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি আপনি, কৈলাস বিজয়বর্গী, রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যন্য নেতারা দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরে রণনীতি তৈরী করুন। দু ঘন্টা পরে ফোন করবেন। বলে দেব আপনারা কি রণনীতি তৈরী করলেন। কোনো লোভ বা ভয়ে যারা আমাদের সাথে গদ্দারি করে আপনার সাথে যাচ্ছেন তাঁরা ভালো সাজার জন্য আমাদের সাথেও যোগাযোগ রাখছেন। আপনার ঘরের খবর আমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। এদের কোনো জাত হয়না। এদের বিশ্বাস করবেন না। আজ বাঁকুড়ার রামসাগরের সভা থেকে বিজেপির রণনীতি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন তৃনমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।  এদিনের সভা থেকে শোভন বৈশাখীর সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে কটাক্ষ করে কুনাল ঘোষ বলেন, আজ শোভনকে কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে বিজেপি। এতদিন সেই শোভন বৈশাখী কোথায় ছিলেন? গত তিন বছর ধরে দক্ষিন কলকাতার একটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাটে শোভন বৈশাখী একে অপরকে পর্যবেক্ষন করেছে। এখন দুজন মিলে বিজেপি কে পর্যবেক্ষন করছে। শোভন তুমি যে সুবর্ণ গোলক ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারছ না সেই সুবর্ন গোলক স্বর্গের ঠাকুররা তোমার কাছে টুক করে পাঠিয়ে দেননি। ওই সুবর্ন গোলক পৃথিবীতে আসার পর হাত ঘুরতে ঘুরতে তোমার কাছে এসেছে। আর যেদিন তোমার ক্ষমতা ও টাকা শেষ হয়ে যাবে সেদিন সুবর্ন গোলক গড়াতে গড়াতে আরেক জায়গায় চলে যাবে।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।